মহানগরীর নিসবেতগঞ্জ এলাকার ঘাঘট ব্রিজের নিচে ২০টি বেদে পরিবারের ১০০ মানুষ তাঁবু টানিয়ে বসবাস করছে। এসব তাঁবুতে জ্বলছে বিজলী বাতি। ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা। ভেসে আসছে টেপ রেকর্ডারের গান ও টেলিভিশনের শব্দ। কারও হাতে আবার মোবাইল ফোনও। আর এসবই হচ্ছে সৌরবিদ্যুতের বদৌলতে।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট তাঁবুর সামনে বিশেষ যত্নে রাখা হয়েছে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল। একটি তার সংযুক্ত আছে ভেতরে রাখা ব্যাটারির সঙ্গে। প্যানেলের মাধ্যমে ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে। এরপর ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা হয় এ ব্যাটারি। এটি দিয়ে তারা পাখা ও টেলিভিশন চালান। জ্বালান বিজলী বাতি। চার্জ দেন মোবাইল ফোন। তাদের কয়েকজন জানান, আগে তারা তাঁবুতে কুপি বাতি ও হারিকেন ব্যবহার করতেন। এতে তেমন আলো হতো না। ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করতে পারত না। এছাড়া মাসে অনেক টাকার কেরোসিন তেল লাগত। ভয় ছিল অগ্নিকান্ডের। আগে প্রকৃতির বাতাসের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন তারা। এখন ইচ্ছামতো বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করছেন। মোবাইল ফোন চার্জ দেয়ার জন্য তারা বিভিন্ন দোকানে যেতেন। অনেক সময় শুনতে হতো কটু কথা। কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে। ঘরেই চার্জ দিচ্ছেন মোবাইল ফোন। টেলিভিশনে পাচ্ছেন বিনোদন। জানতে পারছেন দেশ-বিদেশের সব খবর। সব মিলিয়ে সৌরবিদ্যুৎ তাদের জীবনমান অনেক উন্নত করেছে এ কথা বলা যায় নিশ্চিন্তে।
No comments:
Post a Comment